WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

10 effective foods for increase body: শরীরে শক্তি বাড়ানোর জন্য ১০টি কার্যকরী খাবার।

শরীরে শক্তি বাড়ানোর জন্য ১০টি কার্যকরী খাবার

শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক ও মানসিক কাজের চাপে শক্তি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাই এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত, যেগুলো শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে। নিচে ১০টি এমন খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো, যা নিয়মিত খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

10 effective foods for increase body: শরীরে শক্তি বাড়ানোর জন্য ১০টি কার্যকরী খাবার।

মাধ্যমিক পাশে পশ্চিমবঙ্গে ৩২০০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ: জেলার তালিকা ও আবেদন প্রক্রিয়া

১. ওটস

ওটস হলো প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। এটি ধীরে ধীরে হজম হয়, যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি বজায় থাকে। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি যোগায় এবং ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সকালের নাস্তায় ওটস খেলে সারাদিন শরীরে সতেজতা ও কর্মক্ষমতা বজায় থাকে।

২. বাদাম

বাদাম, বিশেষ করে আমন্ড এবং আখরোট, শক্তির একটি বড় উৎস। এতে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে যা শক্তি যোগায়। আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শক্তি বৃদ্ধি এবং মানসিক সতেজতা আনতে সাহায্য করে।

৩. কলা

কলায় প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা তাত্ক্ষণিক শক্তি দেয়। এতে পটাসিয়াম থাকে, যা পেশি সংকোচনে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি দূর করে। ব্যায়ামের আগে বা পরে কলা খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে আসে।

৪. ডিম

ডিম হলো প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস, যা মাংসপেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা শক্তি উৎপাদনে সহায়ক। সকালের নাস্তায় একটি ডিম খেলে সারাদিন শক্তি বজায় রাখা যায়।

৫. মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু শক্তির একটি ধীরে ধীরে মুক্তির উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং সি থাকে, যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। মিষ্টি আলু দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৬. চিয়া বীজ

চিয়া বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ছোট বীজগুলি তাত্ক্ষণিক শক্তি প্রদান করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষম রাখে। চিয়া বীজ খেলে শরীর পানির ভারসাম্যও বজায় রাখতে পারে, যা ক্লান্তি দূর করে।

৭. ব্রাউন রাইস

ব্রাউন রাইসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটি ধীরে ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি দেয়। এটি উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবারের চেয়ে ভালো, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৮. মধু

মধু প্রাকৃতিক শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস। এতে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ থাকে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এক চামচ মধু ক্লান্তি দূর করতে এবং কাজের উদ্যম বাড়াতে সাহায্য করে।

৯. শিম ও ডাল জাতীয় খাবার

শিম এবং ডাল প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের দুর্দান্ত উৎস। এই খাবারগুলো হজম হতে সময় নেয়, যার ফলে শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি বজায় থাকে। এগুলোতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্লান্তি কমায়।

১০. গ্রিন টি

গ্রিন টিতে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে সতেজ ও সক্রিয় রাখতে সহায়ক। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বা দুই কাপ গ্রিন টি পান করলে মানসিক ও শারীরিক শক্তি বাড়ে।

 

সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীরে শক্তি বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। উপরোক্ত খাবারগুলি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ক্লান্তি দূর হবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষম থাকতে পারবেন।

Leave a Comment

On a scale of 1-5, how would you rate your experience?